সিএনসি’র আয়োজনে কবি মনিরউদ্দীন ইউসুফের ২৬তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ঐতিহ্যভিত্তিক জাতীয় মনন তৈরিতে তিনি অকুণ্ঠ অবদান রেখেছেন

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি, চিন্তাবিদ, গবেষক, অনুবাদক ও বহু ভাষাবিদ কবি মনিরউদ্দিন ইউসুফ। মূলত কবি হলেও তিনি প্রবন্ধ, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, জীবনচরিত্র, কিশোর পাঠ্য, শিশুতোষ ও গবেষণামূলক বিষয়ে অনেক গ্রন্থের প্রণেতা। তার প্রকাশিত এবং অপ্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা শতাধিক। ইরানের জাতীয় কবি ফেরদৌসী রচিত বিশ্বসাহিত্যের অমর মহাকাব্য ফেরদৌসীর শাহনামা অনুবাদ করে তিনি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে থাকবেন। বাংলায় প্রথম গজলকাব্য বেতস পাতা জলের ধারা, ভাষ্য আলোচনা রুমীর মসনবী, ইকবালের কাব্য সঞ্চয়ন, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস পনসের কাঁটা তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। উপমহাদেশের প্রথম সারির একজন কবি, চিন্তাবিদ, দার্শনিক ও সমাজবিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।

জাতির দৃষ্টিভঙ্গি ও মনন তৈরিতে যে ক’জন মনীষী অকুণ্ঠ অবদান রেখেছেন, জাতীয় মননের কবি মনিরউদ্দীন ইউসুফ ছিলেন অন্যতম একজন। বিশ্ব সাহিত্যের ভাণ্ডার থেকে মণি মুক্তা কুড়িয়ে এনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে তিনি সমুজ্জ্বল করেছেন।

সাহিত্য ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমী পুরস্কার। গভর্নর স্বর্ণপদক, হাবিব ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার আবুল মনসুর সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে পদক লাভ করেন।

উপর্যুক্ত কথামালা ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ সোমবার পল্টনস্থ সিএনসি’র হলরুমে বক্তাদের মুখে উচ্চারিত হয়। ইতিহাসবিদ মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন কবিপুত্র সাঈদ আহমদ আনিস এবং প্রধান অতিথি ছিলেন প্রফেসর ড. সুকোমল বড়–য়া। স্বাগত বক্তব্য দেন সিএনসির নির্বাহী পরিচালক কথাসাহিত্যিক মাহবুবুল হক। আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট গবেষক ও সমাজ চিন্তক শাহ আবদুল হালিম, মীর্যা সিকান্দার, এডভোকেট কে এম আশরাফ ও নাট্যকার সাইদুর রহমান সাঈদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ করেন যথাক্রমে কবি আবদুল আজিজ চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম খান, সাঈদ জোবায়ের, মিনুখান, জাকির হোসেন মজুমদার, আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান মোহাম্মদ, মো. গরীব হোসেন বাবু, বিমল চন্দ্র দাস ও রায়হান শহীদ প্রমুখ। হামদ ও নাত পরিবেশন করেন শিল্পী মাসুদ রানা ও দেওয়ান মু. রফিকুল ইসলাম। উপস্থাপনায় ছিলেন মামুন। অনুষ্ঠান শেষে কবি ও শিল্পীদেরকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি