সংবাদ শিরোনামঃ

মার্কিন-ভারত প্রক্সি-যুদ্ধ! ** জামায়াতের মিছিলে পুলিশের গুলি ** শাহবাগের কথায় রায় দেয়া হলে ট্রাইব্যুনালের আর প্রয়োজন কি? ** রাজনৈতিক অপশক্তি প্রতিরোধে মানুষ চায় বিরোধী দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ** ফ্যাসিবাদকে সহায়তা দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ সম্ভব নয় ** কন্যা পররাষ্ট্রনীতিতে পিতার পথ পরিত্যাগ করেছেন ** ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে জাতীয় নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি ** তালায় কপোতা খনন প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত **

ঢাকা, শুক্রবার, ৩ ফাল্গুন ১৪১৯, ৪ রবিউস সানি ১৪৩৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযমের স্ত্রী মিসেস আফিফা আযম বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি সবসময়ই প্রতিহিংসার রাজনীতি। ইতিহাস সাী যে, দেশের পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করাই আওয়ামী লীগের চরিত্র। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার চার দশক পর একটি মিথ্যাকে সামনে নিয়ে এসে বিতর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে এক অরাজকতার পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সেই উদ্দেশে তারা ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করে অধ্যাপক গোলাম আযমসহ সকল শীর্ষ ইসলামী নেতৃবৃন্দকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেয়ার জন্য একটি সাজানো নাটক মঞ্চস্থ করছে।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি এই ট্রাইব্যুনাল জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে অন্যায়ভাবে ‘যাবজ্জীবন’ কারাদন্ডে দণ্ডিত করেছে। স্যা-প্রমাণের দ্বারা একটি অভিযোগও প্রমাণিত না হওয়ার পরও পাঁচটি অভিযোগ ‘সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত’ বলে রায়ে উল্লেখ করা বিস্ময়কর। ‘৭০ এর দশকে কাদের মোল্লা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে ঢাকার একাধিক শিাপ্রতিষ্ঠানে শিকতা করেছেন। কিন্তু, তখন তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোন অভিযোগ ছিল না। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচিত নেতা ছিলেন। তখনও তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের কোন অভিযোগ ছিল না। আর আজ, প্রত্য কোন সাী ছাড়া কেবল শোনা কথার ওপর ভিত্তি করে আনীত অভিযোগসমূহ বিচারকগণ কিভাবে ‘সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত’ বলেন তা কোন বিবেকবান মানুষের কাছে বোধগম্য নয়। এছাড়া, কাদের মোল্লা কর্তৃক মিরপুরে ৩৪৪ জনকে এবং কেরানীগঞ্জে ১০০ জনকে হত্যা করার দাবি করা হলেও তার বিরুদ্ধে কোন মামলা ছিল না। তদুপরি, কোন হত্যার বিরুদ্ধে নিহতদের কোন আত্মীয় স্যা না দেয়াটাও রহস্যজনক। উপরন্তু, কেরানীগঞ্জে কাদের মোল্লাসহ ৬০ জন রাজাকার ছিল বলে অভিযোগ করা হলেও কাদের মোল্লা ছাড়া অন্য কাউকে অভিযুক্ত না করা নিঃসন্দেহে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাই, সার্বিক বিবেচনায় একথা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, স্যা-প্রমাণের মাধ্যমে প্রমাণিত না হলেও কেবলমাত্র সরকারের ইচ্ছায় এবং নির্দেশেই এই রায় প্রদান  করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে দেশের যুব সমাজ ুব্ধ হওয়ার কারণ, ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ‘অপ্রমাণিত’ অভিযোগকে ‘প্রমাণিত’ বলার পর যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করা। আজকের নতুন প্রজন্ম বুদ্ধিমান ও সচেতন বিধায় এ ধরনের প্রতিক্রিয়া স্বাভাবিক। কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ  ‘অপ্রমাণিত’ হওয়ার পরও ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক ‘সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত’ বলার মত গর্হিত কাজ না করা হলে এই প্রজন্ম এভাবে ুব্ধ হতো না বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। উভয়পরে আইনজীবীদের যুক্তি-তর্ক জনসমে প্রকাশিত হলে অভিযোগ ‘প্রমাণিত’ কি ‘অপ্রমাণিত’ তা নিয়ে বিতর্ক হতো না বা জনমনে ােভ সৃষ্টি হতো না।

তিনি বলেন, আমি সরকারের কাছে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে দাবি করতে চাই, ট্রাইব্যুনালের স্বচ্ছতা ও নিরপেতা নিশ্চিতকল্পে এবং জনমনে বিভ্রান্তি নিরসনের ল্েয ট্রাইব্যুনালে চলমান সকল মামলার যুক্তি-তর্ক ও রায় প্রদান সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা হোক। এতে করে সকল পই প্রকৃত সত্য জানতে পারবে এবং জনমনে বিভ্রান্তির কোন অবকাশ থাকবে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সরকার এই দাবি মেনে নিয়ে দেশকে সম্ভাব্য সংঘাত থেকে রা করবেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।