সংবাদ শিরোনামঃ

বিদ্যুৎ : কোন সুখবর নেই লোডশেডিং তীব্রতর হবে ** জেনারেল মঞ্জুরকে হত্যার নেপথ্য খলনায়ক কে? ** জামায়াত নেতৃবৃন্দ যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত নন ** কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে আ’লীগ সরকারের কোরআন বিরোধী নারী নীতি ** বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্বপ্ন প্রলম্বিত হোক ** পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার নায়ক ডেভিস ইস্যুতে পাক জনমত ও আদালতের চাপে সরকার ** ভূমিকম্প আর সুনামির পর পরমাণু আতঙ্কে জাপান ** কোরআন বিরোধী নারীনীতির অনুমোদনের পর সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় ** আশির দশক ও কবি মতিউর রহমান মল্লিক **

ঢাকা শুক্রবার ০৪ চৈত্র ১৪১৭, ১২ রবিউস সানি ১৪৩২, ১৮ মার্চ ২০১১

।। হাফেজ মাওলানা হাবীবুল্লাহ মুহাম্মাদ ইকবাল ।।
আলহামদু লিল্লাহ ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু আলা রাসূলিল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির হেদায়েতের জন্য যুগে যুগে নবী রাসূল প্রেরণ করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় আমাদের প্রিয় নবী মুহম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সর্বশেষ নবী হিসেবে গোটা বিশ্ব মানবগোষ্ঠীর জন্য প্রেরণ করেছেন। তাই আমরা শেষ নবীর উম্মাত। উম্মাত হিসেবে আমাদের  উপর তাঁর হক বা অধিকার রয়েছে । সে অধিকারগুলো কুরআন সুন্নাহর আলোকে আলোকপাত করা হলো ।

এক. ঈমান আনা
রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অধিকারসমূহের মধ্যে প্রধানতম অধিকার হলো তাঁর প্রতি ঈমান আনা। যদি মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি ঈমান না এনে পূর্ববর্তী সকল নবী রাসূলদের প্রতি ঈমান আনলেও কোন লাভ হবে না । তাঁর প্রতি ঈমান আনার অর্থ হলো: ক) তাঁর রিসালাতের প্রতি ঈমান-অর্থাৎ তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসূল । কুরআনে এসেছে, ‘অতএব তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের এবং আমি যে নূর অবতীর্ণ করেছি তার প্রতি ঈমান আন। আর তোমরা যে আমল করছ আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।’ (সূরা আততাগাবুন:০৮)। খ) তিনি শেষ নবী এবং তারপর কোন নবী আসবে না। সূরা আহযাবের ৪০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘মুহাম্মাদ তোমাদের কোন পুরুষের পিতা নয়; তবে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী। আর আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞ।’ গ) তার রিসালাত পরিপূর্ণ এ কথা অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। সূরা মায়িদার ৩ নং আয়াতে এসেছে,‘.. আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিআমত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে।’ ঘ) তার প্রতি ঈমান আনার সাথে কোন প্রকার সন্দেহ থাকতে পারবে না। সূরা হুজুরাতের ১৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘মুমিন কেবল তারাই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান এনেছে, তারপর সন্দেহ পোষণ করেনি। আর আল্লাহর  রাস্তায় জিহাদ করেছে নিজেদের সম্পদ ও জীবন দিয়ে। এরাই সত্যনিষ্ঠ।’

দুই. আনুগত্য করা
রাসূলের অন্যতম অধিকার হলো তাঁর আনুগত্য করা। তিনি যেসব বিষয়ে আদেশ করেছেন তা পালন করা এবং যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাকা। কুরআনে এসেছে, ‘এবং রাসূল তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন তা তোমরা গ্রহণ কর, আর যা থেকে সে তোমাদের নিষেধ করে তা থেকে বিরত হও (সূরা হাশর:৭)।’ জীবনের সকল বিষয়ে তার আনুগত্য করতে হবে। সূরা আন নিসা ৬৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘অতএব তোমার রবের কসম, তারা মুমিন হবে না যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে বিচারক নির্ধারণ করে, তারপর তুমি যে ফয়সালা দেবে সে ব্যাপারে নিজদের অন্তরে কোন দ্বিধা অনুভব না করে এবং পূর্ণ সম্মতিতে মেনে নেয়।’ তাঁর আদেশ অমান্য করলে কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে । সূরা আন-নূরের ৬৩ নং আয়াতে এসেছে,‘ ... অতএব যারা তাঁর নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা যেন তাদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসা অথবা যন্ত্রণাদায়ক আযাব পৌঁছার ভয় করে।’ আল্লাহর ভালবাসা পাওয়ার জন্যও তাকে অনুসরণ করতে হবে  । কুরআনের ঘোষণা, বল, ‘যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদেরকে ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’(সূরা আলে ইমরান:৩১)।’ তাকে অনুসরণ করার মাধ্যমে আল্লাহর আনুগত্য করা হয়ে থাকে । সূরা আননিসার ৮০ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে বিমুখ হল, তবে আমি তোমাকে তাদের উপর তত্ত্বাবধায়ক করে প্রেরণ করিনি।’ যে ঈমান আনার ঘোষণা দেয়ার পরও তাকে অনুসরন করে না সে তার দাবিতে মিথ্যাবাদী হিসাবে বিবেচিত হবে এবং তাকে জাহান্নামে যেতে হবে। সূরা আননিসার ১৪ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করে এবং তাঁর সীমারেখা লঙ্ঘন করে আল্লাহ তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সেখানে সে স্থায়ী হবে। আর তার জন্যই রয়েছে অপমানজনক আযাব।’ আর যে ব্যক্তি রাসূলের অনুসরণ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। সূরা নিসার ১৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘এগুলো আল্লাহর সীমারেখা। আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে আল্লাহ তাকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে, যার তলদেশে প্রবাহিত রয়েছে নহরসমূহ। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর এটা মহা সফলতা।’ যারা মুখে রাসূলের প্রতি ঈমান আনার ঘোষণা দিয়ে তাকে সকল ক্ষেত্রে অনুসরণ করবে না তাদের পরিণতি মুনাফেকদের মত হবে । কারণ তারা মুখে রাসূলের প্রতি ঈমান আনার ঘোষণা দিলেও তার আনুগত্য করত না। কুরআনে এসেছে, ‘যখন তোমার কাছে মুনাফিকরা আসে, তখন বলে, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয় আপনি আল্লাহর রাসূল এবং  আল্লাহ জানেন যে, অবশ্যই তুমি তাঁর রাসূল। আর আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, অবশ্যই মুনাফিকরা মিথ্যাবাদী (সূরা মুনাফিকুন:১)।’

তিন. মহানবীকে ভালবাসা
আমরা যারা নিজেদেরকে মহানবীর উম্মাত দাবি করি উম্মাত হিসাবে তাঁর অধিকার হলো আন্তরিকভাবে ভালবাসা। যে ব্যক্তির মধ্যে রাসূলের ভালবাসা থাকবে না যে কোন দিন মুমিন হতে পারবে না। ইমাম বুখারী ও মুসলিম আনাস রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার সন্তান, পিতা ও সমগ্র মানুষ হতে প্রিয়তম হবো।’ অর্থাৎ সবার চেয়ে তাকে বেশি ভালবাসতে হবে। উমার রাদি আল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একদা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমার নিকট আমার নিজের জীবন বাদে সকল বিষয়ের চেয়ে অধিক প্রিয়। উত্তরে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না, আমার আত্মা যার কবজায় তাঁর কসম, আমাকে তোমার নিজের জীবন থেকেও বেশি ভালবাসতে হবে । উমার রাদি আল্লাহু আনহু এবার বললেন, আল্লাহর কসম, নিশ্চয় আপনি এখন আমার নিকট আমার নিজের জীবনের চেয়েও অধিক প্রিয়। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এখন হয়েছে হে উমর (সহীহ বুখারী)।’ কুরআনে বলা হয়েছে, ‘নবী, মুমিনদের কাছে তাদের নিজদের চেয়ে ঘনিষ্ঠতর’ (সূরা আলআহযাব ৬)। ‘বল, ‘তোমাদের পিতা, তোমাদের সন্তান, তোমাদের স্ত্রী, তোমাদের গোত্র, তোমাদের সে সম্পদ যা তোমরা অর্জন  করেছ, আর সে ব্যবসা যার মন্দা হওয়ার আশঙ্কা তোমরা করছ এবং সে বাসস্থান, যা তোমরা পছন্দ করছ, যদি তোমাদের কাছে অধিক প্রিয় হয় আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও তাঁর পথে জিহাদ করার চেয়ে, তবে তোমরা অপেক্ষা কর আল্লাহ তাঁর নির্দেশ নিয়ে আসা পর্যন্ত’। আর আল্লাহ ফাসিক সম্প্রদায়কে হিদায়াত দার করেন না (আত-তাওবাহ:২৪)।’

চার. রাসূলের পক্ষাবলম্বন করা ও তাকে সাহায্য করা
উম্মাতের উপর অন্যতম অধিকার হলো রাসূলের পক্ষাবলম্বন করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবিত থাকা অবস্থায় সাহাবীগণ তাঁর পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। রাসূলের বিরুদ্ধে কোন অপপ্রচার এবং তাঁর মর্যাদার হানি করে এমন কোন কাজ পরিচালিত হলে উম্মাতের দায়িত্ব হলো তার সমস্ত শক্তি দিয়ে তা প্রতিহত করা। তাকে সাহায্য করা অর্থ তাঁর সুন্নাহকে প্রতিষ্ঠিত করা, তার উম্মতকে সাহায্য করা। আবু হুরায়রা রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে আমাকে অস্বীকার করবে সে ব্যাতীত আমার প্রত্যেক উম্মত জন্নাতে প্রবেশ করবে। সাহাবায়ে কিরাম প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল, কে অস্বীকারকারী হবে? উত্তরে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেলেন, যে আমার পক্ষ ত্যাগ করেছে সেই অস্বীকারকারী’ (মুসতাদরিক লিলহাকিম)।

পাঁচ. মহনবীর দাওয়াতী কাজে নিয়োজিত হওয়া
আল্লাহ তায়ালা রাসূলকে দায়ী হিসেবে প্রেরণ করেছেন। তাঁর উম্মাতের অন্যতম কাজ হলো দাওয়াতী কাজে আত্ম-নিয়োগ করা। কুরআনে এসেছে, ‘হে নবী, আমি তোমাকে পাঠিয়েছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে। আর আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাঁর দিকে আহবানকারী ও আলোকদীপ্ত প্রদীপ হিসেবে’  (সূরা আলআহযাব: ৪৫ ও ৪৬)। কুরআন মাজীদে আল্লাহর পথে দাওয়াত দান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।  ‘বল, ‘এটা আমার পথ। আমি জেনে-বুঝে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেই এবং যারা আমার অনুসরণ করেছে তারাও। আর আল্লাহ পবিত্র মহান এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই’ (সূরা ইউসুফ: ১০৮)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘একটি বাণী হলেও আমার পক্ষ থেকে পৌঁছিয়ে দাও।’(সহীহ বুখারী ও মুসলিম)। আর দাওয়াতী কাজের চেয়ে উত্তম কাজ আর নেই । এ বিষয়ে হাদিসে এসেছে, আল্লাহ যদি তোমার মাধ্যমে একজন মাত্র ব্যক্তিকেও  হিদায়াত দান করেন তা হবে তোমার জন্য লাল উট থেকেও উত্তম (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)।

ছয়.যথাযথ সম্মান করা
আল্লাহ তায়ালা তাঁর সম্মানকে উচ্চকিত করেছেন। অতএব, তাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা প্রত্যেক উম্মাতের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সূরা ফাতহের  ৮ ও ৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয় আমি তোমাকে প্রেরণ করেছি সাক্ষ্যদাতা, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে। (হে মুমিনগণ!) যাতে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, তাকে সাহায্য কর ও সম্মান কর। আর আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা কর সকাল-সন্ধায়।’ সাহাবায়ে কিরাম রাসুলকে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন। যখন কুরআনের সূরা হুজুরাতের ২ নং আয়াত আবতীর্ণ হলো, হে ঈমানদারগণ, তোমরা নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উঁচু করো না এবং তোমরা নিজেরা পরস্পর যেমন উচ্চস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরকম উচ্চস্বরে কথা বলো না। এ আশঙ্কায় যে তোমাদের সকল আমল-নিষ্ফল হয়ে যাবে অথচ তোমরা উপলব্ধিও করতে পারবে না।’ আবু বকর রাদিআল্লাহু আনহু বললেন, আল্লাহর কসম, আমি নিতান্তই আপনার সাথে ক্ষীণ আওয়াজ ব্যতীত কথা বলব না।

সাত. তাঁর প্রতি দরূদ পড়া
আল্লাহ তায়ালা তার নবীর প্রতি সালাত পাঠের নির্দেশ প্রদান করেছেন। সূরা আল আহযাবের ৫৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে, নিশ্চয় আল্লাহ (ঊর্ধ্ব জগতে ফেরেশতাদের মধ্যে)  নবীর প্রশংসা করেন এবং তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর জন্য দো’আ করে। হে মুমিনগণ, তোমরাও নবীর উপর দরূদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও।’ আনাস ইবনে মালিক রাদি আল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, দশটি গুনাহ মুছে দেবেন এবং দশটি মর্যাদায় ভূষিত করবেন। (সুনান নাছায়ী)

আট. তাঁর বন্ধুদের ভালবাসা এবং শত্রুদের ঘৃণা করা
উম্মাতের উপর রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যতম হক রয়েছে যে,তারা নবীর বন্ধুদের ভালবাসবে এবং শত্রুদের ঘৃণা করবে। অনেকে রাসুলের উম্মাত দাবি করে কিন্তু রাসূলের বন্ধুদেরকে ভালবাসে না এবং তাদের সাথে চলাফেরাও করে না। পক্ষান্তরে রাসূলের শত্রুদের সাথে উঠা-বসা ও তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে, এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কুরআনের ঘোষণা হলো, ‘তুমি আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাসী এমন কোন সম্প্রদায় পাবে না যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচারীদের ভালবাসে। হোক না এ বিরুদ্ধাচারীরা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা তাদের জ্ঞাতি-গোত্র’ (সূরা মুজাদালাহ : ২২)। উল্লেখিত হক বা অধিকারসমূহ প্রত্যেকটিই আমাদেরকে পালন করতে হবে। আংশিক পালন করার কোন সুযোগ নেই।  কুরআনের ঘোষণা, ‘নিশ্চয় তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর মাঝেই রয়েছে উত্তম আদর্শ, যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালা ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহ তায়ালাকে অধিক স্মরণ করে’ (সূরা আহযাব : ২১)। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমাদের প্রিয়নবীর প্রত্যেকটি হক যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দিন। আমীন।
লেখক: ইসলামী শিক্ষাবিদ ও সংগঠক।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।