সংবাদ শিরোনামঃ

জনগণ কান পেতে আছে ‘রাজপুত্র’দের কথা শুনছে ** ঝরাও রক্ত ঝরাও রক্ত, যতো খুশী তুমি পারো, রাজপথে আজ জনতা জেগেছে, যতো খুশী তুমি মারো ** মুসলিম উম্মাহকে সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে ** ব্যর্থ সরকার জনসমর্থন হারিয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে ** সরকারকে গণতান্ত্রিক আচরণ করতে হবে ** ২৫ জানুয়ারিতেই সংসদের অধিবেশন কেন? ** সংবাদপত্রের পাতা থেকে ** হাতি ও আবাবিল ** বিশ্ব নবী (সা.) এর ন্যায় বিচার ** উত্তরাঞ্চলে ৬ মাসে ২০ যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ **

ঢাকা শুক্রবার ২১ মাঘ ১৪১৮, ১০ রবিউল আওয়াল ১৪৩৩, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২

সোনার বাংলা রিপোর্ট
মানবতাবিরোধী ট্রাইব্যুনালে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা স্যা দেয়ার ১৬ দিনের মাথায় বাসুদেব মিস্ত্রি মারা গেছেন। গত ৮ জানুয়ারি সাী দেয়ার ১৬ দিনের মাথায় ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার তিনি পিরোজপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ৮ জানুয়ারি দশম সাী হিসেবে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে জবানবন্দিতে এবং জেরায় বাসুদেব মিস্ত্রি জানিয়েছিলেন, বর্তমানে তার বয়স আনুমানিক ৫৩ অথবা ৫৪ বছর। ১৯৭১ সালে তার বয়স ছিল ১৩-১৪ বছর।

অন্য সাক্ষীরাও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। গত ১৭ জানুয়ারি দুপুর বারটায় আব্দুল হালিম বাবুল নামে একজন সাীর জবানবন্দি এবং জেরা শেষে নতুন সাী হিসেবে আদালতে স্যা দেয়ার কথা ছিল মধুসূদন ঘরামীর। কিন্তু রাষ্ট্রপরে আইনজীবীরা জানান, তিনি অসুস্থ। পরের দিন ১৮ জানুয়ারিও তাকে হাজির করা যায়নি অসুস্থতার কারণে। এরপর আদালত ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেন। কিন্তু ২৪ জানুয়ারিও মধুসূদন ঘরামীকে হাজির করতে পারেননি রাষ্ট্রপরে কৌঁসুলিরা। ২৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে চারজন সাীর নামের তালিকা দিয়ে রাষ্ট্রপরে কৌঁসুলিরা আদালতকে জানান দুপুর দুইটায় তারা নতুন সাী হাজির করতে পারবেন। আদালত বলেন, চারজনের মধ্য থেকে প্রথম দুজনের যেকোনো একজনকে দুপুর দুইটায় হাজির করতে হবে। কিন্তু দুপুর দুইটায় তারা চারজনের তালিকা থেকে শেষের দুজনের একজনকে হাজির করেন। আদালত এর কারণ জানতে চাইলে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী বলেন অন্যরা অসুস্থ।

বাসুদেবের মৃত্যু এবং অন্যদের অসুস্থতাকে অনেকে আল্লাহর গজব বলে মনে করছে। এ কারণে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে যথাসময়ে সাী হাজিরে বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন রাষ্ট্রপরে আইনজীবীরা।  ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা শাহরিয়ার কবির প্রসিকিউশনের বিরুদ্ধে ােভ প্রকাশ করে বলেছেন, চিফ প্রসিকিউটরের (গোলাম আরিফ টিপু) পদত্যাগ করা উচিত।

গত বছর ৭ ডিসেম্বর মামলার বাদী মাহবুবুল আলম হাওলাদার মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে আদালতে প্রথম স্যা দেন। গত ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত রাষ্ট্রপ ১৭ জন সাী মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে হাজির করে। তাদের জবানবন্দি ও জেরা শেষ হয়েছে। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে শতাধিক সাীর নাম দেয়া একজনের স্যা গ্রহণ শেষ হওয়ার পর তাঁরা নতুন সাী আনতে পারেননি বেশ কয়েকবার। আদালতের কাছ থেকে সময় নিয়েও যথাসময়ে সাী হাজির করতে  ব্যর্থ হওয়ায় আদালত ুব্ধ হয়েছেন। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, ১৭ জন সাী হাজির করতে তারা আটবার সিরিয়াল ভঙ্গ করেছেন। তালিকার ক্রমানুসারে সাী হাজির করতে পারেননি। ১৭ জনের মধ্যে কোনো কোনো সাীর নাম তালিকায় ৬০-এরও পরে রয়েছে।

তালিকার সিরিয়াল অনুযায়ী সাী হাজির না করা বিষয়ে রাষ্ট্রপরে আইনজীবীরা সাীর অসুস্থ থাকা, সঠিক সময়ে ঢাকা এসে পৌঁছতে না পারার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আদালতে। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা এ বিষয়ে ােভ প্রকাশ করে আদালতে বলেছেন, তাদের অপ্রস্তুত করার জন্য এবং তারা যাতে ঠিকমতো সাীকে জেরা করতে না পারেন সেজন্য ইচ্ছাকৃতভাবে সিরিয়াল ভঙ্গ করে তালিকার নিচের দিকের সাী হাজির করছেন। এতে ন্যায় বিচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সাীকে প্রশিণ দিয়ে রেডি করতে না পারার কারণে তারা এভাবে দেরি করছেন এবং সিরিয়াল ভঙ্গ করছেন বলে আদালতে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেন তাজুল ইসলাম।

গত ২৬ জানুয়ারি সকালে আদালতে নতুন সাী হাজির করার কথা ছিল রাষ্ট্রপরে আইনজীবীদের। কিন্তু সকালে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে রাষ্ট্রপরে আইনজীবী জানান, সকালে সাী পৌঁছেছে। আসতে একটু অসুবিধা হয়েছে। সাী দেয়ার জন্য এখনো তৈরি হতে পারেনি। ২টায় আমরা নতুন সাী আনতে পারব।

তখন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক ােভের সাথে বলেন, আপনাদের এটা একটি নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। সাী নেই, জ্যামে পড়েছে, আসছে, আসবে অজুহাত দেখাচ্ছেন। সাী না থাকলে আমাদের তো করার কিছু নেই। আমরা হয়  কোর্ট রুমে বসে থাকব না হয় চেম্বারে বসে থাকব।

২টায় তারা নিয়মিত কোনো সাী হাজিরের পরিবর্তে জব্দ তালিকার একজন সাী হাজির করেন। তিনি প্রেস ইন্সটিটিউট বাংলাদেশে (পিআইবি) একজন ক্যাটালগার হিসেবে কর্মরত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিআইবি থেকে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে কিছু পেপার জব্দ করেছেন। সেগুলো আদালতে উপস্থাপন ও ওই পেপার যে তার কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছিল এবং তার জিম্মায় রাখা হয়েছে সে মর্মে স্যা দেয়ার জন্য আনা হয় তাকে।

এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার ১২টায় ১৪তম সাী আবদুল হালিম বাবুলের জবানবন্দি এবং জেরা শেষ হয়। এরপর সাী দেয়ার কথা ছিল মধুসূদন ঘরামীর। আদালত নতুন সাী হাজির করা বিষয়ে জানতে চান রাষ্ট্রপরে আইনজীবীদের কাছে। রাষ্ট্রপরে আইনজীবীরা আদালতকে জানান, মধুসূদন ঘরামী অসুস্থ। আদালত তখন জানতে চান পরের দিন বুধবার ১৮ জানুয়ারি হাজির করা যাবে কি না। রাষ্ট্রপরে আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী তখন বলেন, চেষ্টা করবো হাজির করতে। না পারলে মা করতে হবে আমাদের। কিন্তু পরের দিনও তারা সাী হাজির করতে না পারায় ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মাওলানা সাঈদীর বিচার মুলতবি করেন আদালত। ২৪ জানুয়ারি সকালে পুনরায় আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে তখনো রাষ্ট্রপ সাী হাজির করতে পারেনি। সেদিনও তারা জানান, ২টায় তারা সাী হাজির করতে পারবেন। কিন্তু ২টায়ও তারা যে সাী হাজির করার কথা বলেছিলেন তাকে হাজির না করে অন্য সাী হাজির করেন। আদালত কারণ জানতে চাইলে রাষ্ট্রপরে আইনজীবীরা আবারো সাীর অসুস্থতার কথা জানান। তখন আদালত ােভ প্রকাশ করে বলেন, মাঝে মধ্যে আপনারা এমন করেন যাতে আমরা অসন্তোষ প্রকাশে বাধ্য হই। অন্য দিকে নির্ধারিত সাীর বদলে অন্য সাী হাজির করায় মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী তাজুল ইসলাম তীব্র প্রতিবাদ করেন। ওই দিন ২টায় যে সাী হাজির করা হয় রাষ্ট্রপ থেকে সরবরাহ করা ৬৮ জন সাীর তালিকায় তার নাম ছিল ৬২ নম্বরে। অন্য দিকে পরের দিন ২৫ জানুয়ারি যাকে হাজির করা হয় তার নাম ছিল ৬৬ নম্বরে।

সাীদের নিয়মিত হাজির করতে না পারার অভিযোগ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু বলেন, নিরাপত্তা, দূর পথ, গাড়ি না পাওয়া, বাড়ি ছেড়ে পাঁচ-সাত দিন ঢাকায় থাকা- এসব সমস্যায় যথাসময়ে সাী হাজির করতে অসুবিধা হচ্ছে। আমরা আমাদের সাধ্য অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।

এত বিপুল সাীর মধ্য থেকে সাী হাজির করতে তো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এ কথার রেশ ধরে গোলাম আরিফ টিপু বলেন, এত সাী আনা হবে না। যে যে অভিযোগের স্বপে যে সাী দরকার হবে তাকে আনা হবে।

গোলাম আরিফ টিপু বলেন, আপনারা তো কোর্টে যান। আপনারা দেখেছেন বাদীপরে সাী কত অল্প সময়ে জবানবন্দি দেন। কিন্তু এদের দীর্ঘ সময় নিয়ে জেরা করা হয়। সেটা ল্য করেন না কেন।

গোলাম আরিফ টিপুকে তখন প্রশ্ন করা হয় লম্বা সময় নিয়ে জেরা করায় তো আপনারা বেশি সময় পেলেন নতুন সাী আনার েেত্র। জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো জানি না তার জেরা কখন শেষ হবে।

এ দিকে সিজার লিস্টের সাী হাজির করা এবং জব্দকৃত পেপার বিষয়ে তার স্যা নেয়া নিয়ে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীদের আপত্তির ফলে দীর্ঘ বিতর্ক চলে আদালতে।

মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা জানান, রাষ্ট্রপ মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে ৬৮ জন সাীর যে তালিকা দিয়েছে তাতে এ সাীর নাম নেই। তার নাম আছে অন্য একটি তালিকায় সিজার লিস্টে।

মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা আদালতে জানান, সাীদের জবানবন্দি সমেত রাষ্ট্রপ থেকে তাদের প্রথমে দু’টি ভলিউম দেয়া হয়েছে। তাতে এক জায়গায় ৭০ জন, এক জায়গায় ৩০ জন এবং আরেক স্থানে ৩৮ জন সাীর তালিকা রয়েছে। ১৩৮ জন সাীর মধ্যে ৭০ জন রয়েছেন জব্দ তালিকার। জব্দ তালিকার সংখ্যা বাদ দিলে নিয়মিত সাী থাকে ৬৮ জন। রাষ্ট্রপ থেকেও মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীদের ৬৮ জন সাীর একটি তালিকা দেয়া হয়েছিল সর্বশেষ। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা এত দিন পর্যন্ত সাংবাদিকদের বলে আসছিলেন মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাীর সংখ্যা ৬৮ জন। কিন্তু সাীর তালিকা নিয়ে বিতর্কের পর জানা যায়, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সিজার লিস্ট মিলিয়ে সাীর সংখ্যা ১৩৮ জন। সাীর তালিকা নিয়ে বিভ্রান্তি বিষয়ে মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, রাষ্ট্রপ ৬৮ জনের একটি ফাইনাল তালিকা দেয়ায় স্বাভাবিকভাবে তারা ধরে নিয়েছেন সাীর সংখ্যা ৬৮ জন। তারা ৬৮ জন সাীর বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে আগাচ্ছেন। ট্রাইব্যুনাল মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীদের বলেন, ৬৮ জনের তালিকা বাদ দিয়ে পূর্বের দু’টি ভলিউমের সাীদের সংখ্যা বিবেচনা করতে হবে। তাদের মধ্যে যাদের জবানবন্দি রয়েছে তাদের বিষয়ে আপনারা প্রস্তুতি নেবেন। এর বাইরে যদি অন্য কিছু হয় তাহলে সেটি আদালত বিবেচনা করবেন।

দু’টি ভলিউমের বাইরে কেন এবং কোন আইনে ৬৮ জন সাীর আরেকটি তালিকা আসামি পকে দেয়া হলো রাষ্ট্রপরে আইনজীবীদের কাছে তার জবাব চান আদালত। তখন রাষ্ট্রপরে আইনজীবী জেয়াদ আল মালুম বলেন, আমাদের ভুল হতে পারে। আমরা কখনো দাবি করিনি, আমরা ভুলের ঊর্ধ্বে। এটা নতুন কেস। আমরা কেউ জেনে আসিনি। আমরা জানাশোনার মধ্য দিয়ে শিখছি।

ট্রাইব্যুনালে সাীর জন্য সিকবেড আর ডাক্তার

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে স্যা দেয়ার সময় এবার কাঠগড়াতেই গুরুতর অসুস্থ  হয়ে পড়লেন সাী মধুসূদন ঘরামী। তার বয়স ৮১ বছর। এর আগে থেকে যদিও তিনি অসুস্থ ছিলেন কিন্তু গত ৩১ জানুয়ারি তিনি সুস্থ অবস্থাতেই হেঁটে ট্রাইব্যুনালে আসেন। সকালে স্যা দেয়া শুরু হয় যথারীতি। কিন্তু কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে স্যা দেয়া শুরু করার মাত্র সাত মিনিটের মাথায় তিনি অসুস্থবোধ করতে থাকেন। এরপর আদালত তার স্যাগ্রহণ ১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) পর্যন্ত স্থগিত করে। ট্রাইব্যুনাল পরে জানান, ১ ফেব্রুয়ারি বুধবার  মামলার ২৩ নম্বর সাীর স্যা দেয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে একটি সিকবেড এবং একজন ডাক্তার হাজির থাকবেন।

তদন্ত সংস্থার সংগৃহীত পত্রিকার শিরোনামে মাওলানা সাঈদীর নাম ছিল না

বাংলা একাডেমী থেকে তদন্ত সংস্থা কর্তৃক সংগৃহীত স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সমসাময়িক পত্রপত্রিকায় অপরাধ সংক্রান্ত কোনো পত্রিকার শিরোনামেই মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম ছিল না বলে ট্রাইব্যুনালে স্যা দিয়েছেন বাংলা একাডেমীর দু’কর্মকর্তা। ৩০ জানুয়ারি তারা ট্রাইব্যুনালে এসে স্যা দিয়েছেন। এদিকে পূর্বনির্ধারিত সাী মধুসূদন ঘরামীকে প্রসিকিউশন ৩০ জানুয়ারি হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে ডাক্তারদের অনুমতি পেলে আজ মঙ্গলবার তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন টিম।

বাংলা একাডেমীর অ্যাসিস্ট্যান্ট লাইব্রেরিয়ান এজাবউদ্দিন মিয়া আদালতে স্যা দিয়ে বলেন, ২০১১ সালে মার্চ মাসে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত থাকা অবস্থায় তার উপস্থিতিতে যুদ্ধকালীন সময়ের এসব পেপারের সংশ্লিষ্ট খবরগুলো জব্দ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। বাংলা একাডেমীর ডিস্ট্রিবিউটর সৈয়দ সামসুল কবিরও এ মর্মে গত ৩০ জানুয়ারি স্যা দিয়েছেন।

এরপর আদালতে দুজন জব্দ তালিকার সাী হাজির করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় তাদের স্যা শেষ হলে সৈয়দ হায়দার আলী আদালতকে বলেন, তাদের হাতে সাী নেই।

রাষ্ট্রপ থেকে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে এ জাতীয় মোট ৬৮ জন সাীর তালিকা দেয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে এদের জবানবন্দিও রয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হেলালউদ্দিন খান ১৯৭০ থেকে ১৯৭২ সালের বিভিন্ন পত্রিকার বেশ কিছু খবর জব্দ করেন বাংলা একাডেমী থেকে। সেসব জব্দ তালিকা গতকাল আদালতে প্রদর্শন করা হয়।

আদালতে সরবরাহকৃত জব্দ তালিকা নিয়ে ট্রাইব্যুনালের তিন বিচারকই চরম ােভ প্রকাশ করেছেন। জব্দ তালিকা উপস্থাপনের সময় ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হককে যে মূলকপি দেয়া হয় তার সাথে অন্য দুই বিচারপতি এবং আসামি পকে দেয়া কপিতে ব্যাপক গরমিল দেখা দেয়। কোথাও কোথাও পৃষ্ঠা নম্বর নিয়ে গরমিল এবং কোনো কোনো কপির সাথে মূল কপির বিষয়বস্তুর অমিল দেখা যায়। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক তখন ােভ প্রকাশ করেন। হায়দার আলী ট্রাইব্যুনালকে বলেন, একটু এদিক সেদিক হয়েছে। বিচারপতি নিজামুল হক তখন ােভের সাথে বলেন ‘এটা কী একটু!’

ট্রাইব্যুনালের অপর বিচারপতি এ কে এম জহির আহমেদ বলেন, আমাদের তিনজনকে যে তিনটি কপি দিলেন সে তিনটিই তো আমরা মেলাতে পারছি না। আসামি পরে আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বলেন, আমাদের কপিতে তো কোনো কোনো ম্যাটারই নেই। বিচারপতি নিজামুল হক তখন বলেন, প্রতিটাতে ভুল হচ্ছে। আধাঘণ্টা সময় দিলাম। এগুলো ঠিক করেন। মূলটা ঠিক রেখে অন্যগুলো মেলান।

আধাঘণ্টা বিরতির পর আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে আবারো পৃষ্ঠা নম্বর নিয়ে গোলমাল ধরা পড়ে। তখনো ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপরে আইনজীবীদের প্রতি ােভ প্রকাশ করেন। পরে বাংলা একাডেমীর অ্যাসিস্ট্যান্ট লাইব্রেরিয়ান এজাবউদ্দিন মিয়াকে জেরা করেন মাওলানা সাঈদীর আইনজীবীরা।

প্রশ্ন : আদালতে প্রদর্শনী নং ২৬। এতে রয়েছে - ৮ মে ১৯৭১ সালের দৈনিক আজাদ পত্রিকা। খবরটির হেডলাইন ‘পিরোজপুর মহকুমায় শান্তি কমিটি গঠিত।’

উত্তর : হ্যাঁ।

প্রশ্ন : আদালতে যে পত্রিকাগুলো প্রদর্শন করা হল তার সবগুলোই ১৯৭০, ১৯৭১ ও ১৯৭২ সালের পত্রিকা।

উত্তর : হ্যাঁ।

প্রশ্ন : জব্দকৃত কোনো খবরের শিরোনামে আল্লামা সাঈদীর নাম নেই।

উত্তর : নাই।

মাওলানা সাঈদীর পে আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম, মনজুর আহমেদ আনছারী, কফিল উদ্দিন চৌধুরী, ব্যারিস্টার তানভির আল আমিন, এস এম শাহজাহান কবীর, শিশির মনির প্রমুখ।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।