সংবাদ শিরোনামঃ

জনগণ কান পেতে আছে ‘রাজপুত্র’দের কথা শুনছে ** ঝরাও রক্ত ঝরাও রক্ত, যতো খুশী তুমি পারো, রাজপথে আজ জনতা জেগেছে, যতো খুশী তুমি মারো ** মুসলিম উম্মাহকে সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে ** ব্যর্থ সরকার জনসমর্থন হারিয়ে বেসামাল হয়ে পড়েছে ** সরকারকে গণতান্ত্রিক আচরণ করতে হবে ** ২৫ জানুয়ারিতেই সংসদের অধিবেশন কেন? ** সংবাদপত্রের পাতা থেকে ** হাতি ও আবাবিল ** বিশ্ব নবী (সা.) এর ন্যায় বিচার ** উত্তরাঞ্চলে ৬ মাসে ২০ যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ **

ঢাকা শুক্রবার ২১ মাঘ ১৪১৮, ১০ রবিউল আওয়াল ১৪৩৩, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২

ইসলামী ও সমমনা ১২ দল আয়োজিত জাতীয় কনভেনশনে বক্তারা

সরকার এদেশ থেকে ইসলাম বিতাড়নের ষড়যন্ত্র করছে

সোনার বাংলা রিপোর্ট
ইসলামী ও সমমনা ১২ দল আয়োজিত জাতীয় কনভেনশনে বক্তারা বলেছেন, বর্তমান সরকার ৮৯ বছর বয়সী অধ্যাপক গোলাম আযমকে জেলে ঢুকিয়ে সবচেয়ে বড় জুলুম করেছে।  গোলাম আযমের অপরাধ হলো তিনি শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে আগরতলা মামলা বাতিল আন্দোলন ও ভাষা আন্দোলনের নেতা ছিলেন। তার ওপর জুলুমের অর্থ বিচার বিভাগের ওপর জুলুম। কারণ সুপ্রিমকোর্ট তাকে এদেশের নাগরিকত্ব দিয়েছে। তাঁর নাগরিকত্ব মামলার রায়ে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের কোনো বর্বরতার সাথে তিনি জড়িত ছিলেন না। ১২ দলের আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের সভাপতিত্বে গত ২৮ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসকাবে অনুষ্ঠিত কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ, খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, নেজামে ইসলাম পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী, এনপিপি চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নীলু, নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রকিব অ্যাডভোকেট, মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, মাদরাসা শিক পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্য মাওলানা যাইনুল আবেদীন, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মবিন, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মর্তুজা, ন্যাপ ভাসানী চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হক, ইসলামী ঐক্য পরিষদ চেয়ারম্যান ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী, ভাসানী ফ্রন্ট চেয়ারম্যান মমতাজ চৌধুরী, সম্মিলিত উলামা-মাশায়েখ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, আলমগীর মজুমদার প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী। কনভেনশনের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান। এতে সারাদেশের প্রতিনিধিরাও বক্তব্য রাখেন।

বক্তাগণ বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেতা প্রতিস্থাপন, কোরআন-হাদিসবিরোধী নারীনীতি প্রণয়ন ও ইসলামবিরোধী শিানীতি পাস এবং পর্দা নিষিদ্ধ করে মুসলমানদের বুকে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। সরকার ইসলামবিরোধী বিভিন্ন আইন ও বিচারের নামে আলেম-ওলামাদের নির্যাতনের মাধ্যমে এদেশ থেকে ইসলাম বিতাড়নের ষড়যন্ত্র করছে। দেশের জনগণ ও আলেমরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও এই ষড়যন্ত্র কখনও বাস্তবায়ন হতে দেবে না। ইসলাম ও মুসলমানদের দুশমন এই সরকার উৎখাতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা। এছাড়া কনভেনশন ঘোষণায় আগামী ৩০ দিনের মধ্যে ইসলামবিরোধী সব আইন বাতিল ও কর্মকাণ্ড  বন্ধে কার্যকর কোনো পদপে না নিলে এ সরকারকে ইসলাম ও মানবতার দুশমন হিসেবে আখ্যায়িত করে হরতাল, অবরোধ, ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়ার আল্টিমেটাম দেয়া হবে। শাহ আহমাদুল্লাহ আশরাফ বলেন, বর্তমানে দেশে ইসলাম বিতাড়নের যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে’-এ অবস্থায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, যারা দুর্গাকে মা ও রিজিকদাতা বলে, তারা কখনও মুসলমান থাকতে পারে না। তাদের ঈমান শেষ হয়ে গেছে। মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেন, জালেম ও ভারতপ্রেমী পুতুল এক সরকার আমাদের ওপর চেপে বসেছে। সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যা করলেও এ সরকার মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে। তারা শুধু হামলা, মামলা, নির্যাতন ও মানববন্ধনের মতো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেই বাধা দিতে পারে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বিচারালয় দলীয় লোক দিয়ে সাজিয়েছে। বিচারের নামে কল্পকাহিনী, চোর-বাটপারদের সাী বানিয়ে নিরপরাধ মানুষদের হয়রানি এবং দেশ থেকে ইসলাম বিতাড়নের সব কাজ করছে। আলেমরা এটি সফল হতে দেবে না। দেশ ও মানুষ বাঁচাও, আওয়ামী লীগ সরকারকে হটাও স্লোগান দিয়ে জনজাগরণ ও জনআন্দোলনের মাধ্যমে এ সরকারকে উৎখাত করতে হবে।

শফিউল আলম প্রধান বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের এদেশে সরকার ইসলামবিরোধী আইন করে এটা লজ্জার বিষয়। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, সেনাবাহিনী নিয়ে খেলা করবেন না। দিল্লি আপনাদের রা করতে পারবে না। তিনি বলেন, শেখ মুজিব নিজে ১৯৫ জনকে যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিত করেছিলেন। তাদের যারা ছেড়ে দেয়, তারা বড় দালাল। চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বাদ দিয়ে যে বিচার চলছে, তা মানি না। যারা এদেশের সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের তালিকা করে আগে বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, বিচারের নামে মাওলানা সাঈদী ও মাওলানা নিজামীর মতো ব্যক্তিদের জেলে পাঠানো হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনাল আমরা বন্ধ হতে দেব না। আগামীতে পাড়ায় পাড়ায় ভারতীয় দালালদের খুঁজে বের করে বিচার করতে হবে।

শেখ শওকত হোসেন নিলু বলেন, ৪০ বছরের মধ্যে বর্তমানে দেশ সবচেয়ে সঙ্কটময় মুহূর্ত অতিক্রম করছে। এ অবস্থায় জাতীয় ঐক্যের বড় বেশি প্রয়োজন। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, এদেশের তৌহিদি মুসলমান সম্পর্কে আপনাদের ধারণা নেই। যেদিন তারা জেগে উঠবে, সেদিন আপনাদের কেউ রা করতে পারবে না। মুফতি ইজহারুল ইসলাম বলেন, সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা বাদ ও বিসমিল্লাহর বিকৃত অনুবাদ কুফরি কাজ। যারা এই আইন পাস করেছে, তারা কুফরি করেছে। তওবা করে কালেমা না পড়লে তাদের জানাজা পড়া জায়েজ হবে না।

অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব বলেন, বর্তমান সরকার ৮৯ বছর বয়সী অধ্যাপক গোলাম আযমকে জেলে ঢুকিয়ে সবচেয়ে বড় জুলুম করেছে। তিনি বলেন, গোলাম আযমের অপরাধ হলো তিনি শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে আগরতলা মামলা বাতিল আন্দোলন ও ভাষা আন্দোলনের নেতা ছিলেন। তার ওপর জুলুম অর্থ বিচার বিভাগের ওপর জুলুম। কারণ সুপ্রিমকোর্ট তাকে এদেশের নাগরিকত্ব দিয়েছিল।

অধ্য যাইনুল আবেদীন বলেন, যে সরকারের একজন মন্ত্রী বলেন, রাসূল (সা.) মসজিদের অর্ধেক জায়গা হিন্দুদের জন্য ছেড়ে দিয়েছিলেন, যারা সিলেবাস থেকে জিহাদ শব্দ উঠিয়ে দিয়ে ইসলামী শিা বিতাড়ন ও ইসলামবিরোধী নারীনীতি করতে চায় তারা মুসলমান হতে পারে না।

মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী বলেন, সরকারের যদি শুভবুদ্ধির উদয় না হয়, তাহলে আমরা রক্ত দিয়ে হলেও সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করব ইনশাআল্লাহ। মহিউদ্দিন রব্বানী বলেন, সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে আলেম-ওলামাদের হয়রানি করছে। সংশোধন না হলে সরকার গজবে ধ্বংস হয়ে যাবে। ড. ঈসা শাহেদী বলেন, এ সরকারের ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের মধ্যে অন্যতম হলো এসএসসি থেকে ১০০ নম্বরের ধর্মীয় শিা উঠিয়ে দেয়া। নাস্তিক বানানোর জন্য নতুন শিানীতি প্রণয়ন করেছে তারা। খোন্দকার গোলাম মর্তুজা বলেন, যারা হত্যা-জুলুম করে, তারা জঙ্গিবাদী। সে হিসেবে এ সরকার ও সরকারের মন্ত্রিসভার সবাই জঙ্গিবাদী। আমরা কোনো জঙ্গি নই। ড. খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা উঠিয়ে ধর্মনিরপেতা প্রতিস্থাপন, কোরআনবিরোধী নারীনীতি ও ইসলামবিরোধী শিানীতি প্রণয়ন ইত্যাদির মাধ্যমে সরকার মুসলমানদের বুকে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহিউদ্দীন খান আল্লাহতে বিশ্বাসী সবাইকে এক হয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আর ছোট ছোট দল দেখতে চাই না। অনেক দল আছে যাদের সঙ্গে ইসলামের নাম নেই, অথচ তারা ইসলামের জন্য জীবন দিতে রাজি। তিনি বলেন, আগামী এক মাস সারাদেশে গণসংযোগ করা হবে। মিসরের ইসলামপন্থীরা যেভাবে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পতন ঘটিয়েছে, আমরাও সেই পন্থায় এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। তিনি বলেন, এদেশের ৩ লাখ মসজিদ আমাদের অফিস। প্রত্যেক মসজিদ থেকে যে দিন নারায়ে তাকবীর স্লোগান শুরু হবে, সেদিন টেকনাফ থেকে পঞ্চগড় ছড়িয়ে পড়বে এদেশে ইসলাম কায়েমের সংগ্রামে জীবন দেয়ার জন্য প্রস্তুতির কথা ঘোষণা।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।