ইসলামী শক্তিকে নির্মূল করতেই সরকার কথিত যুদ্ধাপরাধের ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছে : শীর্ষ ২০ হাজার আলেম

বর্তমান সরকার কথিত মানবতাবিরোধী কাল্পনিক অভিযোগে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, তাফহীমুল কোরআনের অনুবাদক ও ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযম, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন ও সফল মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, বিশ্ববরেণ্য ইসলামী চিন্তাবিদ ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মোফাসসিরে কোরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের কারাগারে আটক রেখে তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে অনুপস্থিত ব্যক্তিদের জবানবন্দিকে স্যা হিসেবে গ্রহণ ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের নামে সরকারের, আইনের শাসন ও সংবিধান পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সম্প্রতি এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ২০০০০ (বিশ হাজার) আলেম।

বিবৃতিতে ওলামায়ে কেরামগণ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে জনগণের সাথে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কিছু করবো না। কিন্তু আমরা ল্য করেছি আওয়ামী লীগ মতায় এসেই মুসলমানদের ঈমান-আকীদা ও ইসলামী রাজনীতি ধ্বংসের এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। ইসলামী শক্তিকে দুর্বল করে ধর্মীয় রাজনীতি ধ্বংস করতেই সরকার দেশপ্রেমিক ও বিশিষ্ট কয়েকজন ইসলামী চিন্তাবিদের বিরুদ্ধে কথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তোলে।

তারা বলেন, দেশ থেকে ইসলামী নেতৃত্বকে নির্মূল করে ধর্মহীন রাজনীতি এদেশের জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতেই সরকার পরিকল্পিতভাবে ৪০ বছর আগের মীমাংসিত ইস্যু নিয়ে মাঠে নেমেছে। সরকার সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে অধ্যাপক গোলাম আযম, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী ও মাওলানা সাঈদীসহ বিশিষ্ট দেশপ্রেমিক ও ইসলামী রাজনীতিবিদকে কথিত যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে কারাগারে আটক রেখে তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালাচ্ছে। তারা বলেন, সরকারের ফ্যাসিবাদী ও অগণতান্ত্রিক আচরণে জনগণ স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই কথিত যুদ্ধাপরাধের ইস্যুকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞগণ বারবার সরকারের কথিত যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া দেশের সংবিধান ও মৌলিক মানবাধিকারের পরিপন্থী বলে এলেও  সরকার আইন-কানুনের কোনো তোয়াক্কা না করে শুধু মতার বলে একটি বিচার প্রহসনের ব্যবস্থা করছে।

তারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকার কথিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের নামে দেশের নিরপরাধ, দেশপ্রেমিক ও ইসলামী নেতৃবৃন্দের চরিত্র হননের জন্য ইতিহাসের জঘন্য মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। হত্যা ধর্ষণের কাল্পনিক অভিযোগের স্যা প্রমাণ না পেয়ে এখন অনুপস্থিত ব্যক্তিদের জবানবন্দিকে স্যা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। যা শুধু আইনের শাসনই নয় মৌলিক মানবাধিকারেরও চরম পরিপন্থী। জনগণ মনে করছে কথিত যুদ্ধাপরাধের বিচারের মাধ্যমে সরকার রাজনৈতিক ময়দান থেকে ইসলামী নেতৃত্বকে ধ্বংস করে  বিদেশি কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। এ বিচারের নামে প্রহসনের মাধ্যমে দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে এবং গণতন্ত্র ও ইসলামী চিন্তা চেতনাকে নির্মূল করে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করাও সরকারের আরেক গোপন উদ্দেশ্য। অবিলম্বে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বন্ধ করে দেশের শীর্ষস্থানীয় ইসলামী চিন্তাবিদ ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিক অধ্যাপক গোলাম আযম, মাওলানা নিজামী ও মাওলানা সাঈদীসহ ইসলাম ও দেশপ্রেমিক নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে ওলামায়ে কেরামগণ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বিবৃতিদাতা ওলামায়ে কেরামগণ à¦¹à¦²à§‡à¦¨Ñ à¦®à§à¦«à¦¤à¦¿ মাওলানা আব্দুর রহমান, মাওলানা নুর হুসাইন আল কাশেমী, মাওলানা শাহ জালাল শরীফ, মাওলানা এমদাদুল হক, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ শফিকুল্লাহ, শায়খুল হাদিস মাওলানা আবু নোমান মুহাম্মদ রফীকুর রহমান, শায়খুল হাদিস মাওলানা মুহাম্মদ ছালেহ আহমাদ, শায়খুল হাদিস মাওলানা আবু নোমান মুহাম্মদ হেলাল ঊদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ শফীকুর রহমান, মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মোফাসসির মাওলানা মুহাম্মদ জাকির হোসাইন শেখ, মাওলানা মুহাম্মদ আবুল কাসেম গাজী, শায়খুল হাদিস মাওলানা আবুল বারাকাত মুহাম্মদ ইউসুফ, মাওলানা মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ, মাওলানা মুহাম্মদ আবুবকর সিদ্দিক, মাওলানা মুহাম্মদ রেজানুল ইসলাম, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জাববার, মাওলানা মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ যাকির হোসাইন, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান মিঞা, মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল ওয়াজেদ পাটোয়ারী, হযরত মাওলানা আবুল বশর পীর সাহেব শাহতলী, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ সিদ্দীকি ছোট পীর সাহেব শর্ষিণা, শাহ কামরুল হাসান সাঈদ আনসারী পীরসাহেব টেকেরহাট, শাহ এমদাদুল্লাহ পীর সাহেব, খাজা শাহ ওয়ালিউল্লাহ পীর সাহেব গাছতলা, মাওলানা ফেরদাউছ পীর সাহেব বরগুনা প্রমুখ।

খুলনার অধ্য মাওলানা আব্দুল খালেক, মাওলানা মাহমুদুর রহমান, মাওলানা রুকুনদ্দীন মাদানী, অধ্য মাওলানা রহমাতুল্লাহ, অধ্য ইদ্রিস আলী, অধ্য মাওলানা মানসুরুর রহমান, অধ্য মাওলানা আ. রহমান, অধ্যাপক মাওলানা আ. কুদ্দুস, মাওলানা মোনাওয়ার মাদানী, মাওলানা আ. গফ্ফার মাদানী প্রমুখ।

রাজশাহীর অধ্য মাওলানা শহীদুল ইসলাম, অধ্য মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা কাওছার, মাওলানা আব্দুস সালাম মাদানী, ড. মাওলানা নিজামুদ্দীন, ড. মাওলানা বিলালুদ্দীন, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি