সরকারের মন্ত্রীরা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে : হামিদ আযাদ এমপি

ঢাকা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর হামিদুর রহমান আযাদ এমপি বলেছেন, রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিতের পদত্যাগে প্রমাণ হয়েছে, সরকারের মন্ত্রীরা সর্বেেত্রই লুটপাট আর দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী সুরঞ্জিতকে পদত্যাগে বাধ্য করেছেন। দেশে এখন রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটের মহোৎসব চলছে। সরকার বুঝতে পেরেছে কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলে দুর্নীতির দায়ে সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রীকে কারাগারে যেতে হবে। সীমাহীন দুর্নীতির কারণেই সরকার কেয়ারটেকার সরকার পুনর্বহালে ভয় পাচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটকারী দুর্নীতিবাজ সরকারকে জনগণ আর মতায় দেখতে চায় না। শুধু একজন মন্ত্রী পদত্যাগ করলেই চলবে না, দেশের সামগ্রিক দুর্নীতির দায় স্বীকার করে সরকারকেই পদত্যাগ করা উচিত।

তিনি গত ১৬ এপ্রিল সোমবার রামপুরা থানা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত ওয়ার্ড দায়িত্বশীলদের এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। রামপুরা থানা আমীর মাওলানা একেএম মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমীর এটিএম শোয়েব হোসেন মিল্লাত, থানা সেক্রেটারি সাইয়েদ হাসান ইমাম, থানা কর্মপরিষদ সদস্য এমএ কবির, আব্দুল হাদী, আব্দুল কাদের ও ফজলে আহমদ ফজলু প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, ডিসিসি নির্বাচন নিয়ে সরকারের আচরণ দুরভিসন্ধিমূলক। ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও ওয়ার্ডগুলোর সীমানা নির্ধারণ না করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ছিল সরকারের আরেক চক্রান্ত। গণরায়কে ভয় পায় বলেই সরকার ডিসিসি নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ডিসিসি নির্বাচন আদৌ হবে কি না তা নিয়ে এখন জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে এক ভয়াবহ সঙ্কটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সরকারের মন্ত্রীরা দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। অর্থনীতির যোগান দিতে এখন সরকার বার বার জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি করে জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে খারাপ। মানুষ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এখন ফ্যাসিবাদী কায়দায় বিরোধীদলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীকে ধ্বংস করতে কথিত যুদ্ধাপরাধের নামে এক নীলনকশার বিচারের আয়োজন করেছে। ১৯৫ জন চিহ্নিত অপরাধীকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধাপরাধের বিচার হতে পারে না। সরকার কথিত বিচারের নামে প্রহসন করে দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদদের ফাঁসিতে ঝুলানোর দুঃস্বপ্ন দেখছে। তিনি সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে সংবিধানবিরোধী কালো আইনে বিচারের নামে কোনো প্রকার অন্যায় রায়ের পরিণাম শুভ হবে না। এদেশের জনগণ জীবন দিয়ে হলেও সরকারের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে। অবিলম্বে কথিত দলীয় ট্রাইব্যুনাল বন্ধ করে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে মুক্তি দিতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি