জামায়াত কর্মী গ্রেফতারে ডা. শফিকের নিন্দা

১৪ এপ্রিল চাঁদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা এএইচএম আহমাদ উল্লাহ মিয়া ও সেক্রেটারি মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজীসহ জামায়াতে ইসলামীর ২০ জন নেতা-কর্মী, সাতীরা জেলায় সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলামসহ ২৭ জন, কুষ্টিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর ১১ জন ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৬ জন নেতা-কর্মী, খুলনায় ৩ জন কর্মী গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান গত ১৫ এপ্রিল রোববার বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর সাংগঠনিক জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গেলে পুলিশ অন্যায়ভাবে চাঁদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা এএইচএম আহমদ উল্লাহ মিয়া ও সেক্রেটারি মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজীসহ ২০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে। শান্তিপূর্ণ কর্মী সমাবেশ থেকে বিনা দোষে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, পুলিশ অন্যায়ভাবে সাতীরায় সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলামসহ ২৭ জন নেতা-কর্মী, কুষ্টিয়াতে জামায়াতে ইসলামীর ১১ জন ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের ৬ জন নেতা-কর্মী, খুলনায় ৩ জন কর্মী গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়ে তাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে। গত শনিবার জাতি আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখ পালন করলেও সরকার চাঁদপুর, সাতীরা, কুষ্টিয়া ও খুলনায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে তাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে। পহেলা বৈশাখ এ আনন্দের দিনেও সরকার জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধ করেনি। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে সরকারের ফ্যাসিবাদী চরিত্রই অত্যন্ত নগ্নভাবে প্রকাশিত হয়েছে। সরকার জোর করে মতায় থাকার উদ্দেশ্যেই জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালাচ্ছে।

অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধ করে চাঁদপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আহমদ উল্লাহ মিয়া ও সেক্রেটারি মাওলানা বিল্লাল হোসাইন মিয়াজী এবং সাতীরার সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলামসহ চাঁদপুর, সাতীরা, কুষ্টিয়া ও খুলনার বিভিন্ন স্থানে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদান করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি