সংবাদ শিরোনামঃ

নতুন কৌশলে আন্দোলনের মাঠে ২০ দলীয় জোট ** সতর্কতার সাথে এগুচ্ছে বিএনপি ** ভরাডুবির আশঙ্কা আ’লীগে ** নেতানিয়াহুর জয় মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কট ঘনীভূত করবে ** গণতন্ত্র ছাড়া জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় না ** স্বাধীনতা হোক অর্থবহ ** আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও মার্কিন দলিলপত্র ** আগৈলঝাড়ায় খাল বিল বেদখল ** গ্রেফতার নির্যাতন উপেক্ষা করে সারাদেশে হরতাল অবরোধ অব্যাহত ** রাজনীতি ও সহিষ্ণুতা ** আমাদের স্বাধীনতার ৪৪ বছর **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ চৈত্র ১৪২১, ৬ জমাদিউস সানি ১৪৩৬, ২৭ মার্চ ২০১৫

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের প্রধান খাল দখলের চিত্র

সেচের অভাবে ইরি-বোরো চাষ ব্যাহত
আগৈলঝাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা : বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বিভিন্ন খালের দু’পাশ বেদখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা ও নদী, খালগুলোতে পলি পরে ভরাট হওয়ায় চলতি মওসুমে ইরি-বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। এ কারণে উপজেলার চলতি ইরি-বোরো মওসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি বছর ৯ হাজার ৪শ’ ৭৭ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলায় চাষ হয়েছে ১০ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমি। ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২শ ৩৮ মে. টন চাল। তবে সেচ সঙ্কটের কারণে উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে ৩৫ হাজার মে. টন। খালগুলোর দু’পাশ দখল ও নদী-খালে পলি পরে ভরাট হওয়ায় পানি স্বল্পতার কারণে স্বাভাবিক চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ায় উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের কৃষকের মাঝে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস কর্তৃক কৃষি অধিদপ্তর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিসে অনেক আগেই প্রকল্প দাখিল করলেও আজও ওই প্রকল্প লাল ফিতায় বন্দী রয়েছে। বরিশাল জেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা জানান, কৃষি নির্ভর আগৈলঝাড়ায় গত দুই যুগেও মরা খালগুলো পুনঃ খননের উল্লেখযোগ্য কোনো প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি। তাই কৃষকরা বছরের পর বছর পানি সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছে। সেচের জন্য উপজেলার আভ্যন্তরীণ ২৭টি প্রকল্প আওতায় ৮৬ কি. মি. খালের বিপরীতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে কৃষকদের পানি সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে। তিনি বিভিন্ন দপ্তরে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খাল পুনঃ খননের জন্য প্রকল্পগুলো গত ৩ বছর আগে দাখিল করলেও তা এখনও লাল ফিতায়ই বন্দী রয়েছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ নদী, বিল ও খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় জনসাধারণ চাষাবাদে ঠিকমত সেচ দিতে না পারায় সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। উপজেলার পয়সারহাট নদী বালুতে ধীরে ধীরে ভরাট হয়ে যাওয়ায় ঢাকাগামী লঞ্চ ও নৌচলাচল ব্যাহত হওয়াসহ পানিপ্রবাহ কমে যাচ্ছে। ফলে বর্তমান ইরি-বোরো মওসুমে চাষাবাদের জন্য পানির সরবরাহ অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। অনেক স্থানে খাল শুকিয়ে যাওয়ায় চৈত্র মাসে ওইসব খালে কোনো পানি থাকবেনা বলে আশঙ্কা করেছেন কৃষকরা। যার ফলে ওই সমস্ত স্থানের ইরিব্লকে পানি সরবরাহে দারুণভাবে ব্যাঘাত ঘটবে। উপজেলার অনেক স্থানে খালের দু’পাশে দোকানঘর তুলে, দোকানের ময়লা-আবর্জনা ফেলায় খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আবার কেউ খালের মধ্যে দেয়াল দিয়ে স্থাপনা বর্ধিত করায় পানি প্রবাহের গতিরোধ হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরের বাজার সংলগ্ন খাল-গৈলা-চাঁদশী-গৌরনদী খালটিসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থান দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করায় পানি চলাচল বিঘিœà¦¤ হচ্ছে। এসব স্থাপনা নির্মাণে সরকারিভাবে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও প্রভাব খাটিয়ে আগৈলঝাড়া বাজারে বিভিন্ন স্থানে স্থাপনা নির্মাণ করছেন। বিগত সরকারের সময় উপজেলার ৪টি খাল পানি উন্নয়ন বোর্ড নামে মাত্র খনন করে সরকারি অর্থের ব্যাপক অপচয় করেছে। ফলে সেসব খাল বছর যেতে না যেতেই ভরাট হয়ে গেছে। বিগতদিনে কৃষকদের সুবিধার্থে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মন্ত্রণালয়সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ৮ দফা সুপারিশ জানানো হলেও আজ পর্যন্ত সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন বা আলোর মুখ দেখেনি। ওই সুপারিশমালা বাস্তবায়িত হলে স্থায়ী বন্যামুক্ত বসবাস, সেচ ও নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবে। উপজেলায় গ্রামীণ শাখা খালগুলোর ২৭টি প্রকল্পের আওতায় সর্বমোট ৮৬ কি.মি. খাল খনন জরুরি হয়ে পড়েছে। এ খালগুলোতে অতীতের মতো পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে আগৈলঝাড়া উপজেলায় অদূর-ভবিষ্যতে পতিত জমির পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি স্থানীয় খাদ্য উৎপাদন সহসাই কমে যাবে বলে কৃষিবিদদেরা আশঙ্কা করছেন। সরকারের বিভিন্ন দপ্তর পূর্বে খাল খননের প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও বেশ কয়েক বছর পর্যন্ত এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সরকারি অগ্রাধিকার পাচ্ছে না। কাবিখা, কাবিটা, টিয়ারসহ এডিপি ও এলজিইডি বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন করলেও শাসক দলের স্থানীয় জনপ্রতিনিধির উদাসিনতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে খাল খননের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাদ দিয়ে সেচব্লকের ড্রেন নির্মাণ, গ্রামীণ সড়ক মেরামত, পারিবারিক কবরস্থান পাকা করণ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারসহ উপজেলা সদরে বিভিন ভূয়া প্রকল্পের মাধ্যমে কাগজে কলমে কাজ দেখানো হচ্ছে। বর্তমান সরকারের কাছে উপজেলার কৃষক ও জনসাধারণ দাবি জানিয়েছেন ভরাট হওয়া খালগুলো খনন করে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার। এব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. নাসির উদ্দিন জানায় এখন পর্যন্ত পানি সমস্যা হয়নি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবী চন্দর সাথে বার বার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।