সংবাদ শিরোনামঃ

নতুন কৌশলে আন্দোলনের মাঠে ২০ দলীয় জোট ** সতর্কতার সাথে এগুচ্ছে বিএনপি ** ভরাডুবির আশঙ্কা আ’লীগে ** নেতানিয়াহুর জয় মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কট ঘনীভূত করবে ** গণতন্ত্র ছাড়া জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় না ** স্বাধীনতা হোক অর্থবহ ** আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও মার্কিন দলিলপত্র ** আগৈলঝাড়ায় খাল বিল বেদখল ** গ্রেফতার নির্যাতন উপেক্ষা করে সারাদেশে হরতাল অবরোধ অব্যাহত ** রাজনীতি ও সহিষ্ণুতা ** আমাদের স্বাধীনতার ৪৪ বছর **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ চৈত্র ১৪২১, ৬ জমাদিউস সানি ১৪৩৬, ২৭ মার্চ ২০১৫

মাগুরা সদর উপজেলার পাকা কাঞ্চনপুর গ্রামে গত ২২ মার্চ ভোরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই বাড়িতে আসবাব ভাঙচুরের পর আগুন দেয়া হয় ছবি- প্রথম আলোর সৌজন্যে

গ্রামবাংলা ডেস্ক : মাগুরা সদর উপজেলার পাকা কাঞ্চনপুর গ্রামে গত ২২ মার্চ ভোরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। ওই বাড়িতে আসবাব ভাঙচুরের পর আগুন দেয়া ঘটনায় সন্দেহভাজনদের আটকের অভিযানের নামে পুলিশ অন্তত ছয়টি বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ও আগুন দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২১ মার্চ শনিবার রাত থেকে গত ২২ মার্চ রোববার ভোর পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে এই অভিযান চালানো হয়। এ যেন তদন্তের আগেই পুলিশ আইন হাতে তুলে নিয়ে ‘শাস্তি’ শুরু করেছে। সন্দেহভাজন মোট সাতজনকে আটক করা হয়েছে।

মাগুরা-যশোর সড়কের মাগুরা সদর উপজেলার মঘিরঢাল এলাকায় গত ২১ মার্চ শনিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া পেট্রলবোমায় ট্রাকচালকসহ নয় শ্রমিক দগ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। অন্যরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি।

ওই ঘটনার পর হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ধরতে অভিযান শুরু করে পুলিশ। অভিযানে কোথাও কোথাও যৌথ বাহিনী অংশ নেয়।

ভাঙচুরের শিকার পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাত তিনটার দিকে মাগুরা সদর উপজেলার আবালপুর গ্রামে মাগুরা জেলা বিএনপির সহসভাপতি মনোয়ার হোসেন খানের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় পুলিশ। ভেতর থেকে দরজা খুলে না দেওয়ায় পুলিশ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে টেলিভিশন, ডাইনিং টেবিল, শোকেস, গ্লাস-প্লেট, আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করে।

মনোয়ার হোসেনের মা মনোয়ারা বেগম অভিযোগ করেন, প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ধরে পুলিশ তাণ্ডব চালায়। এ সময় তিনি, তাঁর এক নাতি ও একজন কাজের লোক ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিল না।

ভোররাত চারটার দিকে মাগুরা সদর উপজেলার পাকা কাঞ্চনপুর গ্রামে মাগুরা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। আলী আহমেদের স্ত্রী জেলা মহিলা দলের সাবেক সভানেত্রী শামসুন্নাহার বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘ডাকাডাকি করলে দরজা খুলে দেখি পুলিশ। আমার স্বামী কোথায় জিজ্ঞাসা করে। সে বাড়ি নাই জানাতেই আমাকে বাইরে আসতে বলে। বাইরে এলে আমাকে একটু পাশে নিয়ে যায়। এ সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর তারা আমাকে রেখে দ্রুত চলে যায়। আমি দেখি আমার ঘরে দুটি কক্ষে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।’

প্রতিবেশী জরিনা বেগম ও আমির মুন্সী বলেন, ‘আমরা এসে আগুন নেভাতে নেভাতে অধিকাংশ জিনিসপত্র পুড়ে যায়।’

গত ২২ মার্চ শনিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে মঘিরঢালের পাশে বড় ছোনপুর গ্রামের মধ্যপাড়ায় যায় পুলিশ। ওই গ্রামের এনজিও পরিচালিত একটি স্কুলের শিক্ষক মশিয়ার রহমান ও দলিল লেখক আহাদ বিশ্বাসকে আটক করা হয়। এলাকায় তাঁরা বিএনপির কর্মী হিসেবে পরিচিত। ফিরে যাওয়ার সময় পুলিশ ওই গ্রামের আরেক সন্দেহভাজন ব্যক্তি বিএনপির কর্মী মাহবুব মোল্লার একটি ঘরে আগুন দেয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় লোকজন। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসার আগেই বাড়ি পুড়ে যায়।

মশিয়ারের মা ফুল বিবি জানান, রাত দুইটার দিকে পুলিশ মশিয়ারকে আটক করে। তাঁর দাবি, মশিয়ারের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই।

আহাদের বোন মর্জিনা খাতুন অভিযোগ করেন, বিএনপি করে বলেই তাঁর ভাইকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।

মাগুরা শহরের নতুনবাজার উপজেলা ভূমি অফিসের পাশে সোনা মিয়ার বাড়িতে যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। সোনা মিয়ার মেয়ে শাহানা আক্তার অভিযোগ করেন, রাত আনুমানিক দুইটার দিকে যৌথ বাহিনী বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে তাঁরা আমার ভাই বেলাল হোসেন ও বাদশা আলমকে আটক করে নিয়ে যায়। এর ঘণ্টা দুয়েক পর পুলিশ আবার এসে ঘরের ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্রসহ ঘরের ভেতর ও বাইরে ভাঙচুর করে।

জেলা জামায়াতের শূরা সদস্য মো. বাকের অভিযোগ করেন, একই রাতে জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আবদুল মতিনের দরি মাগুরার বাড়িতে ভাঙচুর করে পুলিশ। এ ছাড়া সদর উপজেলার মঘি গ্রামে এরশাদ নামে এক শিবির কর্মীর বাড়িতেও ভাঙচুর করেছে।

মাগুরা জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, ‘দলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশি হামলার নিন্দা জানাই। কেউ দোষী হয়ে থাকলে তাঁকে আটক করে বিচারের মুখোমুখি করতে পারে পুলিশ। কিন্তু কেন এই বর্বরতা?’ তিনি বলেন, ‘পেট্রোলবোমা ছোঁড়ার মতো নৃশংসতা বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী করতে পারে বলে আমি মনে করি না।’

বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুনের বিষয়ে মাগুরার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবীর বলেন,  আগুন দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম অভিযান চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে বলেন, ‘ভাঙচুর ও আগুনের অভিযোগ সঠিক নয়। পুলিশ কি কারও বাড়ি ভাঙচুর করতে বা আগুন লাগাতে পারে?’

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।