সংবাদ শিরোনামঃ

নতুন কৌশলে আন্দোলনের মাঠে ২০ দলীয় জোট ** সতর্কতার সাথে এগুচ্ছে বিএনপি ** ভরাডুবির আশঙ্কা আ’লীগে ** নেতানিয়াহুর জয় মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কট ঘনীভূত করবে ** গণতন্ত্র ছাড়া জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যায় না ** স্বাধীনতা হোক অর্থবহ ** আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও মার্কিন দলিলপত্র ** আগৈলঝাড়ায় খাল বিল বেদখল ** গ্রেফতার নির্যাতন উপেক্ষা করে সারাদেশে হরতাল অবরোধ অব্যাহত ** রাজনীতি ও সহিষ্ণুতা ** আমাদের স্বাধীনতার ৪৪ বছর **

ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ চৈত্র ১৪২১, ৬ জমাদিউস সানি ১৪৩৬, ২৭ মার্চ ২০১৫

ঝিনাইদহে পানিশূন্য নদীর বুকে চাষাবাদ

ঝিনাইদহ সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের নদীগুলোতে পানি না থাকায় জনতার চোখেমুখে এখন শুধুই হাহাকার। এই জেলার বুকজুড়ে প্রবাহিত ১৫টি নদ-নদী বিলীন হয়ে ফসলের ক্ষেতে পরিণত হয়েছে। সেখানে এখন চাষাবাদ হয় ধান-পাট, পিঁয়াজসহ অন্য ফসল। জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত কালী, কুমার, ডাকুয়া, নবগঙ্গা, চিত্রা, বেগবতী, কপোতাক্ষ, ফটকি, ভৈরবসহ ১৫টি নদী সংস্কারের অভাবে ও ভারতের বৈরী পানি নীতির কারণে এখন মৃতপ্রায়। সেখানেও পানির অভাবে অগভীর নলকূপ বসিয়ে ধান ক্ষেতে সেচ চলছে। পানি না থাকায় নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য।

হারিয়ে গেছে মৎস্য সম্পদ। নদী তীরবর্তী গ্রামের জেলেরা পেশা বদলাতে বাধ্য হয়েছে। মাঠের পর মাঠ সবুজ ফসলে ছেয়ে আছে। কিন্তু এ ফসল সাধারণ কোনো জমিতে নয়, এগুলো এক সময়ের খরস্রোতা নদ-নদী। এখন শুধুই ফসলের ক্ষেত। পানি না থাকায় নদীতে কৃষকরা চাষাবাদ করে ফসল ফলিয়েছেন। সবুজ ফসলের মাঠ দেখে কেউ ভুলেও ভাববে না এক সময় এগুলো খরগ্রোতা নদী ছিল। যেসব নদীতে এককালে লঞ্চ-স্টিমার চলত সে সব নদীতে এখন নৌকারও দেখা মেলে না। ফারাক্কার বিরূপ প্রভাবে পলি জমে উৎসমুখ ভরাট হয়ে গেছে। দীর্ঘদিন নদীগুলো পুন:খনন না করা, নদীর উৎস মুখে আড়িবাঁধ দেওয়াসহ নানা কারণে ঝিনাইদহের সব নদীই এখন মৃত। মহেশপুরের চিত্রা নদীর পাড়ের তালিনা গ্রামের আব্দুল মালেক ও শৈলকূপার কালীনদী পাড়ের বৃদ্ধ জেলে দুর্লভ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এক সময় চিত্রা, কুমার নদীতে বড় বড় নৌকা চলত। ইলিশ মাছ পাওয়া যেত। লঞ্চ-স্টিমার চলত। এখন নদীতে মাছ মেলে না। জেলেরা মাছ ধরা পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। এক সময় নদীগুলোর দু’কূল ছেপে গ্রামে পানি ঢুকে পড়তো। এখন পানির জন্য শুধুই হাহাকার। মিষ্টি পানির প্রবাহ না বাড়াতে পারলে এক সময় সাগরের লোনা পানিতে ছেয়ে যাবে খুলনার পাশের এক সময়কার বৃহত্তর যশোরের এ অঞ্চলের নদ-নদী। এ অঞ্চলের পানি সম্পদ উন্নয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো প্রকল্প নেই। দীর্ঘদিন খনন না করায় নদীর বুকে চর ও পলি পড়েছে। ভবিষ্যতে খনন কাজের স্কিম পেলে উদ্যোগ নেবে পানি উন্নয়ন বোর্ড এমনটি জানান  পানি উন্নয়ন বোর্ড ঝিনাইদহের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ। ভূগর্ভস্থ পানির স্তরের নিম্নমুখিতা রোধ, ভূ-উপরিস্থ পানির সরবরাহ বৃদ্ধি, পরিবেশ ভারসাম্য ও জীব বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য এ অঞ্চলে সমন্বিত পানি সম্পদ উন্নয়নে প্রকল্প প্রণয়নের তাগিদ অনুভব করছে পরিবেশবাদী ও পানি বিশেষজ্ঞরা। ঝিনাইদহ জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত মৃত নদ-নদীগুলো পুনঃখনন ও নাব্যতা ফিরে আসবে- এমন প্রত্যাশা করে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম।

এ পাতার অন্যান্য খবর

অন্যান্য মিডিয়া bdnews24 RTNN Sheersha News barta24 Prothom Alo Daily Nayadiganta Jugantor Samakal Amardesh Kaler Kantho Daily Ittefaq Daily Inqilab Daily Sangram Daily Janakantha Amader Shomoy Bangladesh Pratidin Bhorerkagoj Daily Dinkal Manob Zamin Destiny Sangbad Deshbangla Daily Star New Age New Nation Bangladesh Today Financial Express Independent News Today Shaptahik 2000 Computer Jagat Computer Barta Budhbar Bangladesherkhela Holiday Bangladesh Monitor BBC Bangla Pars Today
homeabout usdeveloped by

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মো. তাসনীম আলম।

এটিএম সিরাজুল হক কর্তৃক হক প্রিন্টার্স ১০/৮ আরামবাগ, ঢাকা-১০০০ হতে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। যোগাযোগের ঠিকানাঃ ৪২৩ এলিফেন্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা - ১২১৭।

ফোন: ৮৮ ০২ ৪৮৩১৯০৬৫, ই-মেইল: sonarbanglaweekly@gmail.com, weeklysonarbangla@yahoo.com, সার্কুলেশন: ০১৫৫২৩৯৮১৯০, বিজ্ঞাপন: ৪৮৩১৫৫৭১, ০১৯১৬৮৬৯১৬৮, ০১৭৩৪০৩৬৮৪৬।