সর্বাধিক পঠিত
- ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক আসবে কবে?
- সব নির্বাচনই অগ্রহণযোগ্য
- দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই
- মূূল্যস্ফীতি দ্বিগুণের আশঙ্কা
- আল্লাহর রাস্তায় নিজেকে উজাড় করে দিতে হবে
- বালাকোটের পরও মুসলমানরা থেমে যায়নি বলেই স্বাধীনতা এসেছে
- হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- মার্কিন-সৌদি চুক্তি বিভ্রম ও বাস্তবতা
- ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধে বাইডেন প্রশাসনের অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন চাই
- দেশের মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই
ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র এবং বর্তমান বাংলাদেশ
সব নির্বাচনই অগ্রহণযোগ্য
ভোটগ্রহণ তামাশায় পরিণত, তাই বিরোধীদলগুলোর বর্জন অব্যাহত
॥ ফারাহ মাসুম ॥
একের পর এক তিনটি একতরফা জাতীয় নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচনকেও একতরফা ও হাস্যকর করায় বাংলাদেশে সব পর্যায়ের নির্বাচন ও ভোটগ্রহণ অকার্যকর তথা অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়েছে। এর মাধ্যমে চূড়ান্তভাবেই বাংলাদেশ ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রের ব্র্যাকেটে চলে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সরকার বেছে নেয়ার যে অধিকার সংবিধান বাংলাদেশের মানুষকে দিয়েছিল, সেটি অকার্যকর হয়ে যাওয়ায় সব আন্তর্জাতিক মূল্যায়নে বাংলাদেশের অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে। সর্বশেষ পরিস্থিতিতে জনগণের ইচ্ছায় স্থানীয় প্রশাসন নির্বাচিত হয়ে তাদের পরিচালনার যে ব্যবস্থা সংবিধানে ছিল, তা-ও আর কার্যকর থাকল না।
বাংলাদেশের তিন স্তরের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তর হলো উপজেলা। সেই উপজেলায় একতরফা নির্বাচন শুরু হয়েছে ৮ মে থেকে। এ নির্বাচনে প্রার্থী মূলত সবাই শাসকদল আওয়ামী লীগের। এ দলের একজনের বিরুদ্ধে আরেকজন প্রতিদ্বন্দি¦তা করছে। সরকারের হাইকমান্ড বা প্রশাসনকে যিনি যত ভালোভাবে করায়ত্ত করতে পারবেন, সাধারণভাবে দেখা যাবে তিনি ‘নির্বাচিত’ হয়ে গেছেন। এসব কারণে স্থানীয় সরকারের ভোটগ্রহণও এখন তামাশায় পরিণত হয়েছে।
একতরফা জাতীয় নির্বাচনের মতো একতরফা উপজেলা নির্বাচন করার জন্য আগে থেকে সব পরিকল্পনা নেয়া হয়। বাইরে থেকে সব দলকে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বলা হয়। আর ভেতর থেকে বিরোধী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া আর অপহরণ-গুম করার মাধ্যমে এ বার্তা দেয়া হয়, এ নির্বাচনেও শাসকদলের প্রার্থীদেরই জয়ী করা হবে। মাঠের এ বার্তার পর ....বিস্তারিত
হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলা ট্রিবিউন : রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে ২০২৪ সালের জন্য হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বুধবার (৮ মে) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে হিজরী ১৪৪৫ সালের হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন তিনি।
হজযাত্রা উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উচ্চারণ করেন, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ এ সময় হজে গিয়ে দেশ ও দেশের মানুষের সমৃদ্ধির জন্য দোয়া করতে হজযাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩৩০১ বিমানটি ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে ৯ মে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে যাত্রা ....বিস্তারিত
হজ গাইডলাইন কর্মশালায় আমীরে জামায়াত
আল্লাহর রাস্তায় নিজেকে উজাড় করে দিতে হবে
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, হজ একটি মৌলিক ইবাদত। ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে হজ পালন করা। মহান আল্লাহ যাদের আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান ও শারীরিকভাবে সুস্থ রেখেছেন. তাদের জন্য হজ অবশ্যই পালনীয় বা বাধ্যতামূলক ফরজ ইবাদত। একজন মুসলিম হিসেবে আমরা চাই, হজের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি ফরজ ইবাদত যেন আল্লাহ আমাদের সকলের জন্য কবুল করেন। একে অন্যের প্রতি বিশেষ দরদভরা মন নিয়ে হজের সময়ে সেখানে অবস্থান করবেন। ২০২৪ সালে হজে যাওয়ার জন্য যারা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন, তারা মূলত এখন থেকেই মহান আল্লাহর বিশেষ মেহমান হিসেবে গণ্য হয়েছেন। আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে দাওয়াত এসেছে বলেই আপনারা হজে যেতে পারছেন। যে আল্লাহ আপনাকে তার মেহমান হিসেবে কবুল করেছেন, এখন থেকে জীবনের ....বিস্তারিত
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে ডা. শফিকুর রহমান
দেশের মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গত ২ মে বৃহস্পতিবার দলটির আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এক বৈঠকে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বৈঠকে বলা হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছে যে, দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। প্রশাসনের ছত্রছায়ায় আওয়ামী দলীয় লোকেরা হত্যা, গুম-খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি ও ঘরবাড়ি দখল, ছিনতাই, ঘুষ-দুর্নীতিসহ হেন কোনো অপরাধ নেই, যা তারা সংঘটিত করছে না। দেশের নাগরিকগণ চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের জন্য এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। সরকার পুলিশ প্রশাসনকে ....বিস্তারিত
ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক আসবে কবে?
॥ হারুন ইবনে শাহাদাত ॥
বিরোধীদল নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে। আন্দোলন তীব্রতা পেয়েছিল ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের আগে। কিন্তু সরকার দাবি মানেনি। এমনকি দাবি মানার ইঙ্গিত দিয়ে সংলাপের আহ্বানও জানায়নি। উল্টো আন্দোলন দমনে সরকার নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করেছে। নির্বিচারে বিরোধীদলের বিক্ষোভ-সমাবেশে গুলি, গ্রেফতারের পর অকথ্য নির্যাতন, গুম, খুনের ঘটনা বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রায় প্রতিদিনই প্রকাশিত হয়েছে। বিরোধীদল গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি জানিয়েছে। কিন্তু তদন্তের বদলে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়মুক্তি এবং অনেক ক্ষেত্রে পুরস্কৃত করার ঘটনা ....বিস্তারিত
আইএমএফের চাপে কমানো হচ্ছে টাকার মান, বাড়বে ডলারের দাম
মূূল্যস্ফীতি দ্বিগুণের আশঙ্কা
॥ উসমান ফারুক ॥
তিন বছরে ডলারের খরচ কমিয়ে অর্ধেকে নামিয়ে আনা হলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে না। যদিও সরকার দাবি করছে, এ সময়ে রপ্তানি ও রেমিট্যান্স বেড়েছে। এতে বাংলাদেশের অর্থনীতির তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সবাই। রিজার্ভ দেখভালের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকও বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। অর্থনীতির প্রধান এ সমস্যা সমাধানে আইএমএফ বলেছে টাকার মান আরো কমিয়ে ফেলতে। সংস্থাটি মনে করছে, মূলত অর্থপাচার বন্ধ না হওয়ায় রিজার্ভ বাড়ছে না। উপায়ন্তর না পেয়ে টাকার মান কমাতে রাজি হয়েছে সরকার। ফলে বছর শেষে ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরো দুর্বল হয়ে ১৩৫ টাকায় নামতে পারে বিনিময় হার। এতে মূল্যস্ফীতির ....বিস্তারিত
অ ব লো ক ন
মার্কিন-সৌদি চুক্তি বিভ্রম ও বাস্তবতা
॥ মা সু ম খ লি লী ॥
সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। এ নিয়ে প্রথম বিস্তারিত প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ প্রকাশ করে। এরপর গার্ডিয়ান, রয়টার্সসহ অন্যান্য গণমাধ্যম এ নিয়ে খবর ও বিশ্লেষণ প্রকাশ করে। মধ্যপ্রাচ্য সফরকারী আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ও সৌদি পররাষ্ট্র্রমন্ত্রী ফয়সল বিন ফারহান দুই দেশ এ ধরনের একটি চুক্তির কাছাকাছি বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ চুক্তি স্বাক্ষরের অনেক তাৎপর্যপূর্ণ দিকের একটি হলো এর সাথে তৃতীয় দেশ হিসেবে ইসরাইলের সম্পৃক্ততা। শেষ পর্যন্ত তিন দেশের সমন্বয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা চুক্তি সম্পন্ন হলে মধ্যপ্রাচ্যে ....বিস্তারিত
সম্পাদকীয়
ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধে বাইডেন প্রশাসনের অঙ্গীকারের বাস্তবায়ন চাই
ইসরাইলের মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। এর জন্ম ও বেড়ে ওঠা যে অবৈধ, এ সত্যও কেউ অস্বীকার করেন না। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভূমি অবৈধভাবে দখল করে বৈধ অধিবাসীদের নিজস্ব বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করেই দখলদার ইসরাইল থেমে নেই। প্রতিদিন অগণিত নারী-পুরুষ, শিশু, তরুণ, বৃদ্ধ বনি আদমকে হত্যা করছে। ইসরাইলের সেনাবাহিনী ও নেতাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের কথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও অস্বীকার করে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম অ্যাক্সিওস নিউজ সাইট তাদের প্রকাশিত একটি সংবাদে জানিয়েছে যে, ইসরাইলের অধিকৃত পশ্চিমতীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরাইলের সেনাবাহিনীর নেৎজা ইয়েহুদার ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। অধিকৃত পশ্চিমতীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরাইল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) ....বিস্তারিত
দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ চাই
॥ একেএম রফিকুন্নবী॥
মহান আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে সৃষ্টিই করেছেন তাঁর ইবাদত করার জন্য। ইবাদত করতে হবে তাঁর দেয়া পদ্ধতিতে এবং তাঁর পাঠানো নবী-রাসূলদের দেখানো পথে। শেষ কিতাব মহাগ্রন্থ আল কুরআন। আল্লাহর মুহাম্মদ সা.-কে শেষ নবী হিসেবে পাঠিয়েছেন। আর কোনো জীবন পদ্ধতিও আসবে না এবং আর কোনো নবীও আসবেন না। তাই শেষ নবীর দেখানো এবং শেখানো পথেই আমাদের জীবন চালাতে হবে- ব্যক্তি থেকে সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে।
শেষ নবীর ওপর অর্পিত বাণী হলো, ‘ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধ’। সমাজে আমরা ভালো কাজ করার জন্য দেশের প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নিষ্ঠার পরিচয় দিতে হবে। দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি ছাড়াই সব কাজ আঞ্জাম দেয়ার আদেশ এবং মন্দ ....বিস্তারিত